বিসিএস যাত্রা ( পর্ব-০১)
বিসিএস যাত্রা ( পর্ব-০১)
মাসুদ রানা
৩৮ তম বিসিএস(প্রাণিসম্পদ) ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ধাপগুলো অতিক্রম করার পর সকলের লক্ষ্য থাকে ভালো কোন জব এ প্রবেশ করা। তবে অনেকেই আছেন যারা ব্যবসাও করতে পারেন। যারা সরকারি জবের চিন্তা করছেন তাদের জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। কথায় বলে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আর হ্যাঁ এই শেষ ভালোটার উপর নির্ভর করে পরবর্তী জীবনে ভালো থাকা। ত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত সরকারি জবের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায়। অর্থাৎ এই 30 বছর বয়সের মধ্যে ভাল কিছু হলে এটার উপর নির্ভর করবে বাকি জীবন। তাই শেষ ফলাফলটা যে অতীব গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সহজে অনুধাবন করতে পারি।স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এই ধাপগুলো অতিক্রম করতে অনেক সময়, অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়।এর পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিশ্রম। কিন্তু শেষটাতে যদি ভালো কিছু করা না যায় তাহলে সব কিছুই বৃথা।
আজকে আমি কিছু কথা বলব তাদের উদ্দেশ্যে যারা সরকারি জব নিয়ে ভাবছেন কিংবা জবের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল যে প্রথমেই আপনারা নিজের লক্ষ্যটা ঠিক করেন। এবং সেই লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় থেকে লক্ষ্য পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যান।
বর্তমানে সরকারি জবের প্রতি সকলের ব্যাপক আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছে, এজন্য প্রতিনিয়ত প্রতিযোগীর সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। উদাহরণস্বরূপ, 37 তম বিসিএসে 2 লাখ 43 হাজার 577 জন প্রার্থী ছিলেন।
38 তম বিসিএস এ 3 লাখ 89 হাজার 468 জন প্রার্থী এবং সর্বশেষ 40 তম বিসিএস এর 4 লাখ 12 হাজার 532 জন প্রার্থী আবেদন করেন।
বর্তমানে সরকারি জবের প্রতি সকলের ব্যাপক আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছে, এজন্য প্রতিনিয়ত প্রতিযোগীর সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। উদাহরণস্বরূপ, 37 তম বিসিএসে 2 লাখ 43 হাজার 577 জন প্রার্থী ছিলেন।
38 তম বিসিএস এ 3 লাখ 89 হাজার 468 জন প্রার্থী এবং সর্বশেষ 40 তম বিসিএস এর 4 লাখ 12 হাজার 532 জন প্রার্থী আবেদন করেন।
এই লক্ষ লক্ষ প্রতিযোগীর সাথে প্রতিযোগিতা করেই কাঙ্খিত জব অর্জন করতে হয়। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে দিন দিন প্রতিযোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এত এত প্রতিযোগির মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। কথায় বলে 'কঠোর প্রশিক্ষণ সহজ যুদ্ধ'। হ্যাঁ সত্যিই কঠোর পড়াশোনা করে ভালো প্রস্তুতি নিলে জব হবে নিশ্চিত।
আমার দৃষ্টিতে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নাই, আমার মতে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নাই।
যে যত বেশি পড়াশোনা করবে, যে তত বেশি শ্রম দেবে সে তত বেশি ভালো করবে। তবে নিজের ভাগ্যের ওপরও বিশ্বাস রাখতে হয়।
যে যত বেশি পড়াশোনা করবে, যে তত বেশি শ্রম দেবে সে তত বেশি ভালো করবে। তবে নিজের ভাগ্যের ওপরও বিশ্বাস রাখতে হয়।
আমার দৃষ্টিতে সরকারি জবের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় খুবই জরুরী।
১।সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য
১।সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য
২।প্রচুর পড়াশুনা এবং
৩।আত্মবিশ্বাস।
আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই ঠিক করলাম আমার জীবনের লক্ষ্য। আমার স্বপ্ন ছিল আমি একজন বিসিএস ক্যাডার হবো। জানতাম বিসিএস এর জন্য প্রচুর পড়াশুনা করতে হয়। তাই আমার লক্ষ্য পূরণে কঠোর পরিশ্রম করতে লাগলাম। আমি বিসিএস পরীক্ষা ছাড়া তেমন অন্য কোথাও পরীক্ষা দেইনি। কারণ সর্বদাই আমার মনেপ্রাণে ছিল আমি বিসিএস ক্যাডার হব। আমার মতো অনেকেরই লক্ষ্য থাকতে পারে। বিসিএস এর পাশাপাশি ব্যাংকসহ অন্যান্য চাকরির স্বপ্নও থাকতে পারে।এটাই হলো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য।
আর এই লক্ষ্য পূরণে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অনেকে বলে ভালো মেধা ছাড়া জব পাওয়া যায় না। আমি বলি যতই মেধাবী হোননা কেন ভাই আসল কাজ হলো কঠোর পরিশ্রম। প্রচুর পড়াশোনা ছাড়া কখনও বিসিএস কিংবা সরকারি চাকরিতে ভালো করা সম্ভব নয়।
আর এই লক্ষ্য পূরণে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অনেকে বলে ভালো মেধা ছাড়া জব পাওয়া যায় না। আমি বলি যতই মেধাবী হোননা কেন ভাই আসল কাজ হলো কঠোর পরিশ্রম। প্রচুর পড়াশোনা ছাড়া কখনও বিসিএস কিংবা সরকারি চাকরিতে ভালো করা সম্ভব নয়।
আমি নিজের কথাই বলি, আমি অনেক পড়াশুনা করতাম।আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো -এটাই ছিল আমার মনের কথা। সত্যি বলতে কি হতাশা কখনো ছুঁতে পারেনি আমাকে এ বিষয়ে। আমার বিশ্বাস ছিল আমি ভালো কিছু করতে পারবো।
আর আমি জানতাম অনার্স পাশের সাথে সাথেই কোন না কোন জবে ঢুকতে হবে আমাকে। কারন আমার পরিবারকে সাপোর্ট দিতেই হবে। তাই অনার্সের পর ইচ্ছা থাকলেও হলে থাকা হবে না আমার। প্রথম বিসিএস এ আমাকে টিকতেই হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেয়ার পর দেখলাম আমার 132 নম্বর থাকে।তাই আমি নিশ্চিন্তে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। লিখিত পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় হলে থেকে দিয়েই সাথে সাথে একটি চাকরিতে ঢুকলাম। পরবর্তীতে জবে থাকা অবস্থায় ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি এবং পরবর্তী বিসিএস অর্থাৎ 40 তম বিসিএস এর প্রিলি এবং লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি।
আমি পারবো আর পারতেই হবে এটাই হল আমার আত্মবিশ্বাস।
আর আমি জানতাম অনার্স পাশের সাথে সাথেই কোন না কোন জবে ঢুকতে হবে আমাকে। কারন আমার পরিবারকে সাপোর্ট দিতেই হবে। তাই অনার্সের পর ইচ্ছা থাকলেও হলে থাকা হবে না আমার। প্রথম বিসিএস এ আমাকে টিকতেই হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেয়ার পর দেখলাম আমার 132 নম্বর থাকে।তাই আমি নিশ্চিন্তে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। লিখিত পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় হলে থেকে দিয়েই সাথে সাথে একটি চাকরিতে ঢুকলাম। পরবর্তীতে জবে থাকা অবস্থায় ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি এবং পরবর্তী বিসিএস অর্থাৎ 40 তম বিসিএস এর প্রিলি এবং লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি।
আমি পারবো আর পারতেই হবে এটাই হল আমার আত্মবিশ্বাস।
যারা প্রথমবার বিসিএস এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বা সরকারি জবের জন্য নিজেকে তৈরি করতেছেন তাদের অনেক বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকে।যেমনটি প্রথম অবস্থায় আমারও ছিল।এক্ষেত্রে একটি সঠিক গাইডলাইন খুবই প্রয়োজন।আমি আমার হল লাইফে বড় ভাইদের সাথে প্রচুর সময় ব্যয় করেছি। বড় ভাইদের মধ্যে যারা চাকরিপ্রার্থী কিংবা বিভিন্ন সরকারি জবে গেছেন তাদের সাথে আমি প্রচুর আলোচনা করতাম আর প্রচুর পরামর্শ নিতাম। সত্যি বলতে বড় ভাইদের পরামর্শ খুবই মূল্যবান। বড় ভাইয়েরা সঠিক গাইডলাইন দিতে পারেন। কোন বই পড়তে হবে,কতক্ষণ পড়তে হবে,কিভাবে পড়তে হবে, কোন চাকরি কেমন ইত্যাদি বিষয় গুলো সহজে জেনে নেয়া যায় তাদের কাছ থেকে। ভার্সিটিতে অযথা ঘোরাফেরা, অর্থহীন আড্ডাবাজি, সময় নষ্ট করা এসব কাজ আমাকে কখনোই টানতো না।কিন্ত বড় ভাই আপুদের নিকট হতে অনেক কিছু জানার চেষ্টা করতাম। আমরা যারা প্রথমবার চাকরি প্রস্তুতি নিবো বা নিচ্ছি তারা বড় ভাই আপুদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।।তাহলে কাজটা সহজ হবে।
সরকারি চাকুরি বিশেষ করে বিসিএস সহ অন্যান্য প্রথম শ্রেণী এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরির ক্ষেত্রে কোটা প্রয়োগ হবেনা। সকলের সমান সুযোগ চাকরি পাওয়ার। তাই আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে স্বপ্ন পূরণে।
বি.দ্র: পরবর্তি পর্বে বিসিএস প্রস্তুতির কৌশল আর বই নির্বাচন নিয়ে লিখব ইনশাআল্লাহ।
No comments